সর্বশেষ

পশ্চিমবঙ্গে অর্পিতার আরও এক ফ্ল্যাট থেকে বিপুল অর্থ উদ্ধার, চলছে গণনা

/ শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি /

প্রকাশ :


/ উদ্ধার করা অর্থ /

 

২৪খবরবিডি: 'পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের বিপুল অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্যটির সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আরও এক যক্ষের ধনের ঠিকানা পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি।'

দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের পর বুধবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়ায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আরও দুটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মেলে। যার একটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করেছে ইডি। টাকার পরিমাণ এতটাই বেশি যে ইডির পক্ষে টাকা গুনতে চারজন রিজার্ভ ব্যাংক কর্মী ও ট্রাকে করে বড় বড় পাঁচটি টাকা গোনার মেশিন আনতে হয়েছে। -বুধবার তল্লাশি চালাতে অর্পিতার বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাটে তালা ভেঙে ঢুকে ইডি। সেখানে দেখা যায়,  অর্পিতার টালিগঞ্জের বাড়ির মতোই ওয়ারড্রবের থরে থরে টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত উদ্ধার ২০ কোটি টাকা, সঙ্গে তিন কেজি স্বর্ণ। এখনও গণনা চলছে বলে জানিয়েছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

'অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘড়িয়া টাউন ক্লাবের হাউজের ৫ নম্বর ব্লক-এর এইট/এ নম্বরের ফ্ল্যাটে টাকা গোনার মেশিন এনে কাজ শুরু করা হয়েছে। অভিযানের সময় উৎসুক জনতার ভিড় থাকায় চারদিকে আঁটোসাঁটো করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা। অর্পিতার যে ফ্ল্যাট থেকে টাকা পাওয়া গেছে, এ দিন সেই ব্লকের সম্পাদককে ডেকে পাঠায় ইডি। তার সামনেই সাক্ষী রেখে ফ্ল্যাটের দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে চলে তল্লাশি। তল্লাশির শুরুতেই টালিগঞ্জের মতো বেলঘড়িয়াতেও আলমারিতে বস্তায় বস্তায় টাকা পাওয়া যায়।'

পশ্চিমবঙ্গে অর্পিতার আরও এক ফ্ল্যাট থেকে বিপুল অর্থ উদ্ধার, চলছে গণনা

-পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা কেলেঙ্কারিতে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ বাবদ এ বিপুল অর্থ নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর আগে তার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ২০ লাখের বেশি রুপি, ৫৮ লাখ রুপি সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা, ৭৯ লাখ রুপির স্বর্ণ উদ্ধার করে ইডি। এছাড়া তার ৪৫ কোটি রুপি মূল্যের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কলকাতা, শান্তিনিকেতন, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় কয়েক শত বিঘা জমি, বাংলো, বাগানবাড়ি ও ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে ইডি। সংস্থাটির ধারণা কলকাতার একটি বস্ত্র বিপনী সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছেন মন্ত্রী ও তার সহযোগীরা।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত